দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নতুন স্বপ্ন নিয়ে ফের সমুদ্রে যাত্রা করেছেন সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার হাজারো জেলে। একই সঙ্গে সরব হয়ে উঠেছে মৎস্য আড়তগুলো। ইলিশের টেকসই প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার রাত ১২টায়। অনেকেই ওই রাতে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করেছেন। আবার গতকাল সকালে মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দর থেকে শত শত ট্রলার ছেড়ে গেছে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে। এসব ট্রলার ইলিশবোঝাই করে ঘাটে ফিরবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট জেলেদের। এদিকে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম দিন সমুদ্রে নেমে ইউনুস নামে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ৪৩ মণ ইলিশ। গতকাল সকালে এ মাছগুলো আলীপুর মৎস্য বন্দরের আবদুল্লাহ মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন ওই জেলে। পরে নিলামের মাধ্যমে ২০ লাখ ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। অবরোধ শেষে বুধবার মধ্যরাতে ওই জেলে গভীর সমুদ্রে গিয়ে জাল ফেললে এসব ইলিশ তার জালে ধরা পড়ে। তিনি জানান, ১৯ জন জেলেসহ ট্রলার নিয়ে তারা গভীর সমুদ্রে যান। এরপর পায়রাবন্দর বয়া এলাকায় জাল ফেলতেই এসব মাছ উঠে আসে। তার জালে এত বেশি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরাও আনন্দিত। স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, নীল জলরাশির বুকে এবার তারা পাড়ি দিচ্ছেন এক বুক স্বপ্ন ও অনেক প্রত্যাশা নিয়ে। এদিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে উঠেছে।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা বলেন, জেলেরা শতভাগ সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করেছেন। ভারতের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর অবরোধ দেওয়ায় সাগর অনেকটা নিরাপদ ছিল। আশা করছি আমাদের জালে এ বছর প্রচুর পরিমাণে মাছ ধরা পড়বে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এবারই প্রথম ভারতের সঙ্গে মিল রেখে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। উপকূলের ৫৮ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকায় সামুদ্রিক ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন সুষ্ঠু হয়েছে। আশা করছি উপকূলের জেলেরা এ বছর ভালো পরিমাণ মাছ পাবেন।