রাজধানীর উত্তরা থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ পেশাদার অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানার একটি দল ২৮ মে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি রোডের বাসা নম্বর ৩৭-এর দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, এরা একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। এরা বিভিন্ন বয়সের কিশোরীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে তাদের আটকে রেখে নগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ এবং সমাজমাধ্যমে তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করত। এদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সারা রাত উত্তরা পশ্চিম থানার ঘটনায় কাজ করার পরদিনই দক্ষিণখান থানায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমরা চরম ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এজন্য গণমাধ্যমকে অবহিত করতে পারিনি। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে। আশা করি আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করতে পারব।’ উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি। ২৮ মে রাত আড়াইটার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ভিকটিমের মায়ের মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি তিনি উত্তরা পশ্চিম থানাকে জানালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়। পরদিন দুপুরে উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টরের ১০/বি রোডের বাসা নম্বর ৩৭-এর দ্বিতীয় তলা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি পৃথক মামলা হয়েছে।