কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্পে বহিরাগতরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় প্রচার ক্যাম্পের অন্তত অর্ধশতাধিক চেয়ার টেবিল ভাঙচুর ও নির্বাচনি প্রচারের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ ছাড়া হামলার ভিডিও করায় একজন আইনজীবীকে পিটিয়ে জখম ও অন্য নারী আইনজীবীকে লাঞ্ছিত করেন হামলাকারীরা।
হামলার বিষয়ে কুষ্টিয়া আদালতের জিপি মাহাতাব উদ্দিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদীদের আমলে চারবার সেক্রেটারি নির্বাচন করেছি, কিন্তু কোনোদিন এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখিনি। একটি পক্ষ পরাজয়ের আশঙ্কায় নির্বাচন বানচাল করতে এ হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে। কারা হামলা চালাতে পারেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহাতাব বলেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে গায়েবি মামলার কিছু আসামি হাজিরা দিতে এসে হামলায় অংশ নিয়েছেন। শুনেছি হামলার সময় যুবদলের নামে স্লোগানও দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বিএনপিপন্থি আইনজীবী এস এম শাতিল মাহমুদ বলেন, আমার ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে আদালত প্রাঙ্গণে এ ধরনের নোংরা ঘটনা দেখিনি। যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তারাই স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো ও নির্বাচন বানচালের উদ্দেশে এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুল মজিদ বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোসর অনেকেই চাচ্ছেন না নির্বাচন হোক, এ জন্য তারা এ হামলার ঘটনা ঘটাতে পারে। হামলার সময় আদালতে থাকায় এর বেশি কিছু আমার জানা নেই। হামলার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য কেউ হামলা চালিয়েছে কি না, আমরা তা নিশ্চিত নই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।