শীতের বিদায়লগ্নে শিমুল ফুলের পাপড়িতে রঙিন হয়ে উঠত প্রকৃতি। জানান দিত ঋতুরাজ বসন্ত আগমনি বার্তা। এক সময়ে রক্তলাল শিমুল ফুলের ছড়াছড়ি ছিল দিনাজপুরসহ সারা দেশে। গ্রামবাংলার সে রূপটি যেন ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। এখন অনেক ফুলের দেখা মিললেও চোখে পড়ে না গাঢ় লাল রঙের শিমুল ফুল। ব্যাপক হারে কমেছে শিমুল গাছ। মানুষ এ গাছ অপ্রয়োজনীয় মনে করে কেটে ফেলছে। আর বীজ বপন না করায় শিমুল গাছের অস্তিত্বই এখন হুমকির মুখে।
প্রকৃতিপ্রেমী ও সংগঠক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, শিমুল গাছ উজাড় হওয়ায় পরিবেশে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। এ গাছ অনেক উঁচু হওয়ায় কাক, কোকিল, চিল, বকসহ বিভিন্ন পাখি বাসা বাঁধত। গাছ উজাড় হওয়ায় এসব পাখি আবাসস্থল হারিয়েছে। বড় গাছ না থাকায় ধীরে ধীরে কমছে পাখি।
সাজ্জাদ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সবুর চৌধুরী, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন জানান, অপরিকল্পিতভাবে কেটে ফেলার কারণে শিমুল গাছের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। বসন্তের আগমনকে মনে করিয়ে দেয় শিমুল গাছ। শিমুল গাছের ডালে ডালে লাল ফুল যেন প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলত। এ গাছ কেটে ফেলায় প্রকৃতি যেন রূপ হারিয়েছে। প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতে ব্যাপকভাবে শিমুল গাছের চারা রোপণ করা উচিত।
বোচাগঞ্জ উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা নিরাঞ্জন রায় বলেন, শিমুল এমন একটি গাছ যা মানুষের কাছে চিত্তাকর্ষক রঙের প্রতীক। শিমুল গাছে যখন ফুল ফোটে তখন চারদিক লাল রঙে ছেয়ে যায়। শিমুল একটি ঔষধি বৃক্ষ। বিভিন্ন রোগে শিমুলের মূল ব্যবহার হয়।