মার্কিন-মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে হামাস আরও দুজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে বাকি মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় এবং বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন।
গোষ্ঠীটির সশস্ত্র শাখা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা চুক্তি মানতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এই মুহূর্তে তাদের নাগালের মধ্যে থাকা সমস্ত জিম্মির মরদেহ তারা হস্তান্তর করেছে।
বুধবার রাতে ফেরত দেওয়া দুটি দেহ যদি আনুষ্ঠানিকভাবে পণবন্দিদের বলে নিশ্চিত হয়, তবে এখনও গাজায় ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী, হামাসকে মোট ২৮ জন মৃত পণবন্দির দেহ ফিরিয়ে দিতে হবে।
হামাস দাবি করেছে, বাকি দেহগুলোর সন্ধানে এবং তা উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা এবং বিশেষ সরঞ্জামের প্রয়োজন। আমরা এই ফাইলটি বন্ধ করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানিয়েছে, রেড ক্রস মারফত তারা কফিনগুলি পেয়েছে এবং বর্তমানে সেগুলোর আনুষ্ঠানিক শনাক্তকরণ চলছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামাস চুক্তি না মানলে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় যুদ্ধ আবার শুরু করতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ পুনরায় শুরু হলে গাজায় হামাসকে পরাজিত করার জন্য তিনি আইডিএফকে বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েল বারবার বলছে, জিম্মিদের ফেরানোর বিষয়টিতে তারা আপস করবে না এবং মিশন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল