২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার অঙ্গীকার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী।
ছত্তীসগঢ় সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বস্তার ডিভিশনে আবারও মাওবাদীর একটি দল আত্মসমর্পণ করেছে। এবার সুকমা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সাত জন নারীসহ নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই’র (মাওবাদী) মোট ২৭ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। এদের মধ্যে মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা পিএলজিএর (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি) ১৬ জনের মাথার দাম ছিল ৫০ লাখ রুপি।
সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চৌহান জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা সরকারি নীতি মেনে পুনবার্সন সংক্রান্ত সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, ছত্তীসগঢ় সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভালো গ্রাম) প্রকল্পে উন্নয়ন দেখে তারা আকৃষ্ট হয়েছেন। তাই অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচিও শুরু করেছিল।
৬০ জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গড়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে সোনু। মাওবাদী সংগঠনে ‘তাত্ত্বিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই বুধবার বলেন, বেণুগোপালের আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের শেষের শুরু।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল