ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুককে অপসারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগকে সাময়িকভাবে আটকে দিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালত।
যুক্তরাষ্ট্রে আগে কোনও প্রেসিডেন্ট কখনও ফেড গভর্নরকে সরাননি। তাই এ নিয়ে শুরু হওয়া নজিরবিহীন আইনি লড়াইকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দীর্ঘদিনের স্বাধীনতার জন্য এক বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন আদালতের ওই আদেশের ফলে হোয়াইট হাউসও এই আইনি লড়াইয়ে প্রাথমিক বাধার মুখে পড়ল।
ওয়াশিংটন ডিসির ডিস্ট্রিক্ট জজ জিয়া কব এক অন্তর্বর্তী রায়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও পর্যন্ত কুকের কর্মকাণ্ড বা বোর্ড সদস্য হিসেবে তার কর্মদক্ষতা নিয়ে এমন কিছু দেখাতে পারেননি, যা থেকে বোঝা যায় তিনি তার কাজের মাধ্যমে জনগণ বা বোর্ডের ক্ষতি করছেন।”
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, লিসা কুক ফেডে যোগদানের আগে বন্ধকি ঋণ নিয়ে জালিয়াতি করেছেন- এটি তাকে অপসারণের পক্ষে যথেষ্ট কারণ নয়। যদিও লিসা কুক শুরু থেকেই এমন জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এ মামলা শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলাফল ফেডের সুদের হার নির্ধারণের স্বাধীনতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, রাজনৈতিক চাপমুক্ত থেকে সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করা যেকোনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফেড প্রতিষ্ঠার আইনে বলা হয়েছে, গভর্নরকে শুধু ‘কারণ দেখিয়ে’ অপসারণ করা যাবে। তবে আইনে ‘কারণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয় এবং এর জন্য কোনও প্রক্রিয়াও নির্ধারিত নেই। ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনও প্রেসিডেন্ট ফেড গভর্নরকে অপসারণ করেননি।
বিচারক কব রায়ে বলেন, আইন অনুযায়ী কোনও গভর্নরকে শুধু পদে থাকার সময় অসদাচরণের জন্যই অপসারণ করা যাবে। কিন্তু কুকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সবই ২০২২ সালে মার্কিন সিনেটে তার নিয়োগ অনুমোদন পাওয়ার আগের সময়ের। লিসা কুক ট্রাম্প ও ফেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তার দাবি, এসব অভিযোগ প্রেসিডেন্টকে তাকে অপসারণের আইনি অধিকার দেয় না; বরং তার আর্থিক নীতি নিয়ে অবস্থানের কারণে তাকে সরানোর চেষ্টা চলছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ