যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় হুন্দাইয়ের একটি কারখানায় শত শত অভিবাসী গ্রেপ্তারের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসননীতি। হোয়াইট হাউসের সীমান্ত উপদেষ্টা টম হোম্যান রবিবার সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, হুন্দাইয়ের পর এবার আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার জর্জিয়ার ওই কারখানায় মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বেশির ভাগই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) জানিয়েছে, আটককৃতদের মধ্যে কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, আবার কারও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের কাছেই ছিল পর্যটন ও ব্যবসায়ী ভিসা, যা দিয়ে কাজ করার অনুমতি নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার রবিবার জানায়, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ হলে আটক ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
হোম্যান বলেন, “অবৈধ অভিবাসীকে কেউ মানবিক কারণে চাকরি দেয় না। তাদের দিয়ে বেশি কাজ করানো যায়, কম মজুরি দেওয়া যায় এবং মার্কিন নাগরিক কর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কমানো যায়।”
বিরোধী সমালোচনা
ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন পদক্ষেপের বিরোধীরা বলছেন, কৃষি, পর্যটন, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাত অবৈধ অভিবাসীদের ওপর নির্ভরশীল। ফলে এসব অভিযানে শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সমালোচনায় ট্রাম্পের ‘মিম’
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ১৯৭৯ সালের ভিয়েতনাম যুদ্ধভিত্তিক সিনেমা অ্যাপোক্যালিপস নাউ থেকে অনুপ্রাণিত একটি মিম শেয়ার করেন। সেখানে আগুন, হেলিকপ্টার ও শিকাগোর স্কাইলাইন দেখানো হয়, যা অনেকেই যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে সমালোচনা করেছেন।
তবে হোম্যান এ সমালোচনার জবাবে বলেন, এটি ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। “আমরা কেবল অপরাধী ও অভিবাসন আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করছি।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক