আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ জনে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় তিন হাজার মানুষ। মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইউসুফ হাম্মাদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আহতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে, ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ভূমিকম্পে সৃষ্ট ভূমিধসে কয়েকটি সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবে অধিকাংশই পুনরায় চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট সড়কও খুলে দেয়ার কাজ চলছে, যাতে দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো সহজ হয়।
এদিকে তালেবান সরকারকে অনেক দেশ স্বীকৃতি না দেয়ায় দেশটিতে সহায়তা প্রদান বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। এছাড়া ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদেশি সহায়তা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২০২৫ সালের শুরুর দিক পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছিল আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সহায়তার প্রায় সব অংশই বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জাতিসংঘও চলতি বছরের জুনে ঘোষণা দেয় যে অর্থের সংকটের কারণে তারা বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বড় আকারে কমিয়ে আনছে।
তবে সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানে জরুরি প্রয়োজন মূল্যায়ন ও তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদানের কাজ শুরু করেছেন এবং প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ১০ বছরে আফগানিস্তানে একাধিক প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হেরাত প্রদেশে তিন দফা ভূমিকম্পে মারা যান অন্তত ২ হাজার ৪৪৫ জন। তার আগে ২০২২ সালের জুনে পাকতিয়া, খোস্ত ও নানগারহারে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত হন এক হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র : আল-জাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/শআ