রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনের আগে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলবেন ইউরোপ ও ইউক্রেনের নেতারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে তারা যুদ্ধবিরতির জন্য কিয়েভের স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়ার বিপদগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবেন।
শুক্রবার আলাস্কায় আলোচনায় পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এটি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টায় একটি ‘অনুভূতিশীল’ বৈঠক হিসেবে কাজ করবে।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে ২০২১ সালের পর প্রথম মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে সম্মত হন। মার্কিন শান্তি উদ্যোগকে প্রতিরোধ করার জন্য পুতিনের প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে হতাশা প্রকাশ করার পর হঠাৎ করেই পথ পরিবর্তন করেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, তার দূত মস্কোতে আলোচনায় ‘দুর্দান্ত অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য কিয়েভ এবং মস্কো উভয়কেই ভূমি ছেড়ে দিতে হবে। রাশিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে।
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পরে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল কেমন হবে তা নিয়ে ইউরোপীয়দের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের আশঙ্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার নেতা সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং এমনকি ইউক্রেনকে একটি প্রতিকূল চুক্তিতে বাধ্য করার চেষ্টা করতে পারেন।
পূর্ব ইউরোপের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা এখন লক্ষ্য রাখছি যাতে এটি না ঘটে- মার্কিন অংশীদারদের সাথে যোগাযোগ এবং ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলা হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত এখনও অনেক সময় আছে।”
ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি, পোল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স গ্রিনিচ মান সময় দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ আয়োজিত সম্মেলনে ন্যাটোর মহাসচিবও যোগ দেবেন। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/একেএ