যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইসরায়েল থেকে আমদানি করা সকল পণ্যের উপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নতুন নির্বাহী আদেশের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আদেশ ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির অংশ, যেখানে ইতোমধ্যেই একাধিক দেশের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো আমেরিকান ব্যবসাকে সুরক্ষা দেওয়া এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে পুনর্গঠন করা।
ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় এই শুল্ক আরোপের ঘটনাকে হালকাভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব দেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, তাদের তুলনায় ইসরায়েলের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্কই সর্বনিম্ন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই হার দু’দেশের মধ্যে চলমান সংলাপ এবং একটি উন্নত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে গৃহীত ইতিবাচক মনোভাবেরই প্রতিফলন।
তবে এটি নতুন কিছু নয়। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলোচনার সুযোগ দিতে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়। সেই সময় ইসরায়েলের ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছিল, ১৭ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হলে প্রায় ২৬ হাজার ইসরায়েলি চাকরি হারাতে পারে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫২ বিলিয়ন নতুন ইসরায়েলি শেকেল (প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসরায়েলে আমদানি হয়েছিল ৩২ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ৮.৬ বিলিয়ন ডলার)। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় বাণিজ্য উদ্বৃত্তে রয়েছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন নির্বাহী আদেশে সিরিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং কানাডার পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে, যেখানে পূর্বে এই হার ছিল ২৫ শতাংশ। তবে ইউএস-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তিভুক্ত পণ্যসমূহ এই শুল্কের বাইরে থাকবে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল