মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক জান্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনায় অন্তত ৪১৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটির কারেন জাতিগোষ্ঠীর দুইটি সশস্ত্র সংগঠন এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (KNLA) এবং কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (KNDO) ড্রোনের মাধ্যমে মিয়ানমার জান্তার একটি সীমান্ত ঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা থাইল্যান্ডের তাক প্রদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল।
থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার পর মিয়ানমার থেকে ৪১৪ জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি মায়ে লার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে। ব্যাংকক থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত তাক প্রদেশের এক মন্দির ও মঠে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে জাতিগত সংখ্যালঘু ও গণতন্ত্রপন্থী গেরিলাদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষ বেড়েই চলছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বাণিজ্য ও চোরাচালান রুট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই জোরালো। এসব রুট থেকে প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলো টোল আদায়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে।
দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় কারেন সশস্ত্র গোষ্ঠী বর্তমানে সীমান্ত রুটের নিয়ন্ত্রণে জান্তা বাহিনীর অন্যতম বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতের কারণে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮১ হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে বসবাস করছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক