ইউক্রেনের সংসদ চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সামরিক আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। আইন প্রণেতারা জানিয়েছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া যে নতুন নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে, তার সময় পিছিয়ে গেছে।
রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ যখন তীব্র হচ্ছে তখন বুধবার ৩৫৭ জন ডেপুটির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এই মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। এর ফলে দেশটি সেনা মোতায়েনের সুযোগ পাচ্ছে এবং নির্বাচনি চক্র স্থগিত করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য চাপের মুখে পড়েছেন। যিনি তাকে একজন স্বৈরশাসক বলে অভিহিত করেছেন।
২০২৪ সালে জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বারবার জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ইউক্রেনীয় আইন অনুসারে, সামরিক আইনের সময় নির্বাচন অসম্ভব। ট্রাম্প প্রশাসনের নেতৃত্বে শান্তি আলোচনা সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং চূড়ান্ত নির্বাচনের আশা তৈরি করার সাথে সাথে, কিছু ইউক্রেনীয় বিরোধী রাজনীতিবিদ জেলেনস্কির আরও খোলাখুলি সমালোচনা শুরু করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বৃহত্তম বিরোধী দল "ইউরোপীয় সলিডারিটি"-এর নেতা পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, সামরিক আইনের মেয়াদ বাড়ানো উচিত, বিশেষ করে এই মাসে সুমি এবং ক্রিভি রিহ-এর উপর মারাত্মক রাশিয়ান হামলার পর। তবে তিনি জেলেনস্কিকে সামরিক আইনের সময় তার ক্ষমতা শক্তিশালী করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেন।
পোরোশেঙ্কো বলেছেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে আমাদের স্পষ্টতই স্বীকার করা উচিত সরকার সামরিক আইনের অপব্যবহার শুরু করেছে, এটি কেবল দেশকে রক্ষা করার জন্য নয় বরং একটি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ব্যবহার করছে। তবে পোরোশেঙ্কোর দল সামরিক আইনের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে অপ্রতিরোধ্যভাবে সমর্থন করেছে, দলের মাত্র একজন আইনপ্রণেতা এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল