রাজস্ব আদায়ে কঠোর হচ্ছে সরকার। এজন্য কর অব্যাহতি সুবিধা কমিয়ে আনা, কর জাল সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবায় একই হারে ভ্যাট নির্ধারণের বিষয় বিবেচনা করছে সরকার। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। গতকাল অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের বাজেট উপস্থাপনকালে এসব তথ্য উঠে আসে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাজেটে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর লক্ষ্যে কর অব্যাহতি যৌক্তিকী করাসহ মধ্য মেয়াদে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়ে এনবিআরের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এনবিআরের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ এবং সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস হতে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস হতে নির্বাহ করা হবে। আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত ৮ শতাংশের নিচে রয়েছে।