যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সকাল ৬টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মূলত তিন প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। তারা হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী জোহরান মামদানি (৩৪), নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর (ডেমোক্র্যাট) স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুওমো ও রিপাবলিকান দলীয় কার্টিস সিøওয়া। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া মামদানি বিনামূল্যে শিশুসেবা, বাস ভাড়া বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। অন্যান্য নাগরিকসেবার পাশাপাশি বাসাভাড়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। নির্বাচিত হলে তিনিই হবেন নিউইয়র্ক শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তরুণ ভোটারদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সি জোহরান মামদানির জনপ্রিয়তা তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও কার্টিস সিøওয়ার তুলনায় অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, অন্য বয়সের স্বল্প আয়ের মানুষও জোহরান মামদানির মধ্যে আশার আলো দেখছেন। অনেকেই জোহরান মামদানির নির্বাচনি কৌশলকে ‘মামদানি ম্যাজিক’ হিসেবেও আখ্যা দিচ্ছেন। তাই নির্বাচনে তাঁর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। এদিকে নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুয়োমোর পক্ষে সরাসরি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন যে, কুয়োমোকেই তিনি এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দেখতে চান।
ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘আমার দায়িত্ব দেশের নেতৃত্ব দেওয়া। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যদি মামদানি জয়ী হন, তাহলে নিউইয়র্ক সিটি সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘মামদানি নির্বাচিত হলে নিউইয়র্ক সিটিকে কেবল ন্যূনতম ফেডারেল সহায়তা দেওয়া হবে। আমি এমন একজন ডেমোক্র্যাটকে জয়ী দেখতে চাই, যার সফলতার রেকর্ড আছে ও একজন ব্যর্থ কমিউনিস্টের চেয়ে ভালো।’ সূত্র : আলজাজিরা