বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, শিল্পমালিকরা যে গ্যাসসংকটের অভিযোগ তুলেছেন, ‘আমরা শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করে তার কিছুটা সত্যতা পেয়েছি। আমরা এটা অ্যাডজাস্টমেন্টের চেষ্টা করছি। কার্গোতে করে এলএনজি আসছে। সমুদ্রে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে স্টকিং করতে পারেনি। আশা করছি শনিবার (গতকাল) সন্ধ্যায় গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং তা মনিটর করা হবে।’ গতকাল আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সব এলাকায়ই অবৈধ গ্যাসের সংযোগ আছে। অবৈধ সংযোগের জন্য তিতাসের যেসব কর্মকর্তা দায়ী, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অবৈধ গ্যাসসংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমরা বড় পরিসরে অভিযান চালাব এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এরই মধ্যে ৫০ এমএমসিএফডি সরবরাহ বেড়েছে, আরও এক শ থেকে দেড় শ এমএমসিএফডি বাড়বে। গ্যাসসংকট মোকাবিলায় আরও চারটি এলএনজি কার্গো আনা হচ্ছে।’
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বন্ধুরা এলাকায় টাওয়েল টেক্স লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনে যান জ্বালানি উপদেষ্টা। টাওয়েল টেক্স লিমিটেডের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চলতি মাসে কারখানায় গ্যাসসংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা গ্যাস চাচ্ছি না, অন্তত ৮ ঘণ্টা গ্যাস দরকার। গ্যাস না থাকায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে খরচ বেড়েছে অনেক।’
একই দিন সকালে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর কার্যালয় পরিদর্শন শেষে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) একটি সভা হবে। পল্লী বিদ্যুৎ ও আরইবির সম্পর্ক কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে। সে কমিটি রবিবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি এবং দ্রুত সমাধান করা হবে। এটা নিয়ে মিছিল-মিটিং করে কোনো লাভ নেই।’
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পারভেজ আহমেদ, জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আজিমসহ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।