ঈদ শুভেচ্ছা কার্টুনে কুকুরের ছবি ব্যবহার করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করায় বাদীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করে বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, ভয়ভীতিতে তার দিন কাটছে আতঙ্কে। এর আগে গত সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রকাশক ও গ্রাফিক ডিজাইনারকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন তিনি। আবেদনটি এখন আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। হুমকির বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা করার পর থেকেই আমাকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। আমার বাসার আশপাশে অপরিচিত লোকজন আমার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে এসবে আমি ভয় পাই না। আমি মনে করি, দেশের সব মুসলমান আমার সঙ্গে আছে। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও শান্তি চায়- তাই তারাও আমার সঙ্গেই থাকবে। তাই দেশের শতভাগ নাগরিকই আমার সঙ্গে আছে বলে আমার বিশ্বাস। আমি কোনো ফ্যাসিস্টকে ভয় পাই না। আমি চাই দেশ স্থিতিশীল থাকুক। দেশে শান্তি থাকুক।’
প্রথম আলোর বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু এবারের এই কার্টুনই নয়, ২০০৭ সালেও তারা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন এঁকে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছিল। সে সময় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিবের কাছে গিয়ে মাফ চেয়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, ওই মাফটা তিনি অন্তর থেকে চেয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, তারা আওয়ামী লীগ ও ভারতের সঙ্গে মিলে একটি নতুন ন্যারেটিভ তৈরি করেন। দেশের অধিকাংশ মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে তারা কাজ করেছেন।
প্রথম আলোর সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবার আগে ইসলাম। ইসলামের দিকে তাকিয়ে আপনারা এই কুখ্যাত সংবাদপত্র থেকে বের হয়ে আসুন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম বলেন, এই মতিউর রহমান আগেও একই ধরনের জঘন্য কাজ করেছেন। তার যদি সাজা এই দেশে না হয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এটা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের হবে। আমি বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। কারণ এ সরকার হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে এসেছে। এ সরকার অন্য কোনো দেশের পা চাটা নয়। তারা স্বাধীন সরকার।