যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এতে রপ্তানিকারকদের ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২ এপ্রিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। সে ঘোষণায় বাংলাদেশের পণ্যেও ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী করা যায়, তা নিয়ে সরকার ও ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট। এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সরকার ঠিক পথেই এগোচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি দরকষাকষি করতে হবে, চিঠিপত্র দিয়ে কিছু হবে না।’
গতকাল রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি দরকষাকষির বিষয়টি যথাযথভাবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে সরকারকে এ বিষয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের ৩৫০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি বা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। মাহবুবুর রহমান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করে বলেছেন, এতে শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক, আমদানিকারক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও কাস্টমসের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। টাস্কফোর্সটি বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যপ্রবণতা পর্যবেক্ষণ, বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিয়মিত বৈঠক করতে পারে, যার মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সুষ্ঠু বাণিজ্যের সমস্যাগুলো সমাধান করা অন্তর্ভুক্ত হবে।
মার্কিন শুল্কের প্রভাব মূল্যায়ন এবং উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া কৌশল প্রণয়নের জন্য জরুরি সভা আহ্বান করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের তিনি প্রশংসা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহসভাপতি নাসের এজাজ বিজয়, পর্ষদ সদস্য কামরান টি রহমান, আবদুল হাই সরকার, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ প্রমুখ।