তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে ছাত্র-জনতার অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মোড়ে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তৃতা করেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, সদস্য বখতিয়ার শিশির, জামায়াত মহানগর কমিটির সহকারী সেক্রেটারি রায়হান সিরাজী, এনসিপি নেতা আলমগীর নয়ন, আলমগীর কবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সংগঠক খন্দকার নাহিদ হাসান, ইমরান আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উত্তরের পাঁচটি জেলা- লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে তিস্তা নদী। ভারত এই নদীর উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে উত্তরাঞ্চল ক্রমে মরুময় হয়ে পড়ছে; প্রাণ ও প্রকৃতি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে আকস্মিকভাবে পানি ছেড়ে দেওয়ায় স্বল্পমেয়াদি বন্যায় ওই পাঁচ জেলার ঘরবাড়ি, ফসলের জমি, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতি বছর সহস্রাধিক মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে।
বক্তারা আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে নদীপাড়ের মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও সাধারণ জনগণ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। পূর্ববর্তী সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা বলে ভোট নিলেও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা জানুয়ারিতে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলে এ প্রকল্প ঝুলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নদী আন্দোলনকর্মীরা। তাই বক্তারা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই নিজস্ব কোষাগারের অর্থে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার দাবি জানান।
সরকার এটি বাস্তবায়ন না করলে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল