টাঙ্গাইলের জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্য চমচম, তাঁতের শাড়ি, সন্দেশ এবং মধুপুরের আনারস নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাঙ্গাইলের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই চারটি পণ্য রফতানি ও বিপণন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বিস্তারিত উঠে আসে। এই পণ্যগুলো বর্তমানে টাঙ্গাইলের গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দেশে ও বিদেশে পরিচিতি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের পানির ট্যাংকি মোড়ের বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও বসুন্ধরা শুভসংঘের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি মৌওলানা মো. মাসুদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেরুব ইসলাম রুমন, অর্থ সম্পাদক আল আমিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আরাফাত ইসলাম প্রমুখ।
টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি: এটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্য হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেয়েছে। শাড়ির মান, বয়নশিল্প এবং বাজারজাতকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় জানা যায়, বর্তমানের এই জিআই পণ্যের সঙ্গে জড়িত তাঁতি ও মালিকদের দুর্দিন যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি তৈরির অনেক কলকারখানা ও হাতে বুনা মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে। অতি দ্রুত সেগুলো সমাধান করে এর সুনাম ধরে রাখতে হবে।
পোড়াবাড়ীর চমচম: এটিও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই বিখ্যাত মিষ্টির ঐতিহ্য রক্ষা, মান নিয়ন্ত্রণ এবং এর বাণিজ্যিক প্রসার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
মধুপুরের আনারস: টাঙ্গাইলের মধুপুরের আনারসও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এর চাষাবাদ, মানোন্নয়ন, বাজারজাতকরণ এবং বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে করে মানুষ ফরমালিনমুক্ত আনারস পেতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে।
জামুর্কীর সন্দেশ: টাঙ্গাইলের জামুর্কীর সন্দেশ সম্প্রতি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
আলোচনা সভায় টাঙ্গাইলে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জিআই পণ্যগুলো যাতে তাদের মান ধরে রাখতে পারে সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি