দেশে হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে এসব রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক কমে আসবে।
এ লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করলেও, টেকসই অর্থায়নের ঘাটতির কারণে ওষুধ প্রদানে বাধা হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) অনলাইনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরেন বক্তারা।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর(জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞা(প্রগতির জন্য জ্ঞান) কর্মশালাটির আয়োজন করে। এতে বরিশাল বিভাগে কর্মরত ২৩ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে সারাবিশ্বে ১৪০ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। কোনো কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। বর্তমানে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন এ রোগে ভুগছে। তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান বক্তারা।
সেই সাথে অসংক্রামক রোগ ও অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনতে ব্যয়-সাশ্রয়ী পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়ার ওপর তাগিদ দেন আলোচকরা।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
বিডি প্রতিদিন/কামাল