পঞ্চগড়-২ আসনটি দেবীগঞ্জ এবং বোদা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এই আসনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ বসবাস করেন। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এ আসনে এবার হিন্দু ভোটার ১ লাখের বেশি। এত বিপুল সংখ্যক ভোটারের সমর্থন পেতে বেশ তৎপর বিএনপি ও জামায়াত। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইছেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুদ রানা রিয়াজ। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক বোদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল্লাহ সুফি। এ ছাড়া এ আসনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) নেতা, প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে দলটির সহসভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন, গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অঙ্গ সংগঠন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি কামরুল হাসান প্রধানকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) বোদা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী শিশির আসাদ, গণসংহতি আন্দোলন পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান সাজু, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতা আবুল কাশেম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সভাপতি আশরাফুল ইসলাম। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমুও এ আসন থেকে প্রার্থী হতে চান।
এ আসনে বিগত নির্বাচনে বিএনপির মনোয়ন পাওয়া ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, এ অঞ্চলের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের সমর্থন অবশ্যই বিএনপি পাবে। কারণ আমরা সবসময় তাদের পাশে থেকেছি। এখনো আছি। আমরা মনে করি সংখ্যালঘু বলে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী সফিউল্লাহ সুফি বলেন, বোদা-দেবীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অন্য এলাকার তুলনায় নিরাপদে বসবাস করছেন। গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তারা যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন সেই চেষ্টা করা হয়েছে। আমি নিজেই নেতা-কর্মীদের নিয়ে তাদের অতীতেও যেমন পাহারা দিয়েছি এখনো দিচ্ছি। এ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা নিয়ে এখনো দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান বোদা উপজেলা এনসিপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিশির আসাদ।