চোখের জল আর ভালোবাসায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা জোবায়েদকে চিরবিদায় জানিয়েছেন শিক্ষক, সহপাঠী, রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের পর কুমিল্লার হোমনা কলাগাছিয়া এম এ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, জোবায়েদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গন জবি ক্যাম্পাসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন রাত ৮টার দিকে জন্মস্থান উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
জোবায়েদকে শেষবিদায় জানাতে জানাজা ও দাফনকাজে শামিল হয়ে প্রিয় ছাত্রের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রেখেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম। পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নিহতের চাচা ও হোমনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব (অব.) ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হক জহর, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. আজিজুর রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক মুকুল, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মো. সাইদুল হক, বিসিআইসি কলেজের অধ্যাপক মীর মাসুদুজ্জামান, হোমনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম সাজু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সিনিয়র আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, জবি শাখা কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার আকাশ, হোমনা উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মো. সাইজুদ্দিনসহ হাজারো মুসল্লি।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন রোববার বিকেলে আরামানিটোলার পানির পাম্প গলির নূর বক্স লেনের রওশন ভিলার একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি