প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে পটুয়াখালীর বাউফলে ঊর্মী ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার বাবা-মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃতরা।
তারা হলেন, নিহত কিশোরী ঊর্মী ইসলামের মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩২)।
জানা গেছে, নিহত ঊর্মী ইসলামের সাথে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। গত বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উর্মীর প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার গলাটিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায় উর্মী। এরপরে তার বাবা-মা ও ভগ্নিপতি মিলে লাশ গুম করে ফেলে। পরে শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের ভিকটিমের নানা বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে কুম্ভখালী খালে ঊর্মীর মরদেহ উদ্ধার হয়।
তখন ঊর্মীকে গুম ও খুনের অভিযোগে থানায় মামলার আবেদন করে পরিবার। তবে পুলিশের একাধিক ইউনিট মামলার তদন্ত শুরু করলে, একে একে বের হয়ে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। পরে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবা-মা ও ভগ্নিপতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা অপরাধ স্বীকার করলে বুধবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পটুয়াখালীর সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, পরিবারের তিনজনই আমাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে। পরে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ