রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। মাইলস্টোনের বাংলা ভার্সনের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী এই ছাত্রীর সেই স্বপ্ন মাত্র ৯ বছর বয়সেই থেমে গেলো।
মঙ্গলবার ভোরে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামের বাড়িতে নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশার মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যানটি এসে পৌঁছালে স্বজনরা আহাজারি করতে থাকে। শোকের মাতমে ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। গ্রামের বাড়িতে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এমন মৃত্যু এলাকার কেউই মেনে নিতে পারছে না।
নিহত ফাতেমা আক্তার আনিশা বাগেরহাট উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বনি আমিন ও রোপা দম্পতির বড় মেয়ে। মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় মেয়ে আহত হওয়ার খবর পেয়ে বাবা বনি আমিন শেখ কুয়েত থেকেই রাতেই দেশে ফিরেন। ঢাকায় ফিরেই জানতে পারেন তার মেয়েটি না ফেরার দেশে চলে গেছে।
মেয়ে ফাতেমার বিদায় মেনে নিতে না পেরে বাবা বনি আমিন ও মা রুপা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মাঝেমধ্যে চোখ খুলে চারদিকে অবাক তাকিয়ে থাকছেন তারা। আবার মুহূর্তেই মূর্ছা যাচ্ছেন। ঘরের এদিকে আর্তনাদ করে মেয়ের কফিনে বাবার চুমু খেয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানাচ্ছিলেন বাবা বনি আমিন। এসময় পরিবার ও প্রতিবেশীদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সকাল ১০টায় কুনিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় ফাতেমা আক্তার আনিশার।
নিহত ফাতেমার মামা স্বপন মীর কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ভাগনির ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। দুর্ঘটনার পর আমি ও বোন বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেছি। পরে একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার নিথর লাশ পড়ে রয়েছে। ফাতেমা আক্তার তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় ছিল। তিনি আবাসিক এলাকার উপর দিয়ে বিমান বাহিনী প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান না চালানোর দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই