বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করায় দুটি ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
সোমবার দিবাগত রাতে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলের গভীরে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড থেকে ধাওয়া করে দুটি ফিশিং ট্রলারসহ এসব জেলেদের আটক করা হয়। এসময়ে ভারতীয় দুটি ফিশিং ট্রলার ‘এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গল চন্ডি -৮’ থেকে আহরণ করা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৮ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছও জব্দ করা হয়েছে। আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়।
মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, মোংলা বিএনএস নৌঘাটির একটি যুদ্ধ জাহাজ বঙ্গোপসাগরে নিয়মিত টহল দেয়ার সময় সোমবার দিবাগত রাতে তাদের রাডারে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার সনাক্ত করে। এসময়ে তারা এগোতে থাকলে ফিশিং ট্রলার দুটি পালিয়ে যাবর চেষ্টা করে। তখন নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলের গভীরে সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড থেকে দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলেকে আটক করে। ‘এফবি ঝড় ও এফবি মঙ্গল চন্ডি -৮’ নামে এই ভারতীয় ফিশিং ট্রলারে থাকা ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৮ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছও জব্দ করে। মঙ্গলবার সকালে মাছসহ দুটি ভারতীয় ফিশিং ট্রলার ও আটক ৩৪ জেলেকে সমুদ্র থেকে মোংলায় নিয়ে আসে নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৮ হাজার কেজি সামুদ্রিক মাছ মৎস্য বিভাগের উপস্থিতি প্রকাশ্য নিলামে ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, বিএনএস মোংলা নৌঘাঁটির পেটি অফিসার রেজাউল করিম বাদী হয়ে আটক ৩৪ ভারতীয় জেলের বিরুদ্ধে সমুদ্র আইন (২০২০) ২৫ (এ) বা মেরিন ফিশারিজ ল ধরায় মামলা দিয়ে সকালে মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। আটক জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে প্রেরণে নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল