চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ভ্যান চালককে অতিরিক্ত চোলাই মদ খাইয়ে অচেতন করে হত্যার পর চার্জার ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) মূল অভিযুক্ত খাদেমুল ইসলাম মধুকে নিলফামারী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক অপর দুজন হল, নাচোল উপজেলার ফতেপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে আমানত আলী ও তার ছেলে আমিনুর রহমান। তাদের কাছ থেকেই ছিনতাই হওয়া চার্জার ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার খাদেমুল ইসলাম মধু নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিংঙ্গরগাড়ী গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, গত ২২ জুন, রবিবার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারিলা চাঁনপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে ভ্যানচালক রাজু আহমেদকে নিলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার তরিকুল ইসলামের ছেলে খাদেমুল ইসলাম মধু অতিরিক্ত মদ পান করালে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় মধু রাজুকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যার পর তার অটোচার্জার ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেটি ১৪ হাজার টাকার বিক্রি করে নিলফামারী চলে যায় সে। মাদকাসক্ত মধুর বাড়ি নিলফামারী হলেও সে নাচোলে বিয়ে করে সেখানে বসবাস করে আসছিল।
এদিকে ঘটনার পরদিন ২৩ জুন রাজুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত মধুর মা সুলাতানা বেগম নাচোল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি ও নাচোল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যৌথ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত মধুকে নীলফামারী থেকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইকৃত ভ্যান কেনার অভিযোগে নাচোল উপজেলার ফতেপুর মসজিদপাড়া গ্রামের মেকার আমানত আলী ও তার ছেলে আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত অটোচার্জার ভ্যানসহ আরও ২টি চোরাই ভ্যান উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাবা-ছেলে চোরাই মালামাল কেনাবেচার সাথে জড়িত বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান।
গ্রেফতারকৃতদের আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ