গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবুদ্দিন আজম ও তার স্ত্রীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টার দিকে তাদের গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায়ের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে জিএম সাহাবুদ্দিন আজমকে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মেডিকেল ভিসায় ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জিএম সাহাবুদ্দিন আজম তার স্ত্রীসহ বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে যান। কিন্তু তার পাসপোর্ট লক থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। পরে তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় তাকে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ সরাসরি গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এরপর গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন আজমের স্ত্রীকে সন্দেহভাজন হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা দিদার হত্যা মামলা এবং সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে, জি.এম সাহাবুদ্দিন আজম ও তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার তানিয়া জামান।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাবুদ্দিন আজম কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক দিদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এছাড়া, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে হত্যা মামলা এবং গোপালগঞ্জে আরো একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ