পিরোজপুরের নাজিরপুরে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর (গরু) বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ গরু বিতরণ অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও গরুগুলোর আকার ও ওজন সরকার নির্ধারিত মানের না হওয়ায় পণ্ড হয়ে যায়। পরে দুপুরে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি প্রজেক্ট চলে যাওয়ার কথা বলে গরুগুলো স্থানীয় জেলেদের দেন।
এসময় মৎস্য কর্মকর্তা মো. সারোয়ার হোসেন ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আল মুক্তাদির রাব্বি উপস্থিত ছিলেন ।
জানা যায়, উপজেলায় ৭০ জন দারিদ্র মৎস্যজীবীদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হবে। নীতিমালা অনুয়ায়ী প্রতি গরুর ওজন হবে ৭০ কেজি। বিতরণকালে দেখা যায় ৭০টি গরুর মধ্যে ১টি গরুও সঠিক নিয়মের মধ্যে নেই। প্রকারভেদে গরুর ওজন হবে ৪০ থেকে ৪৫ কেজি।
মৎস্যজীবী লাল মিয়া বলেন, একটি গরু পেয়েছি। তার ওজন হবে ৪০ থেকে ৪৫ কেজি। ইউএনও সাহেব বলছেন গরু না নিলে এ প্রজেক্ট আর থাকবে না। তাই নিয়ে গেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলেরা জানান, গরুগুলো একটার ওজনও ৭০ কেজি নেই। অনেকটা বাধ্য হয়েই নিচ্ছি । ইউএনও স্যার বলছেন, আপনারা গরু নিলে নিবেন, না নিলে প্রকল্প ফেরত চলে যাবে। তিনি আরও বলেন, গরুগুলো নেন। পরে সমস্যা হলে আমরা সমস্যার সমাধান করবো।
নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে রাব্বি ওজনে কম থাকার বিষয়ে জানান, মাপে ও ওজনে কম থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে গরুগুলো বিতরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই