চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সাজিদ হাসান। তিনি দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক।
শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রী নিজে বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাটি করে। গত পাঁচ বছরে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০ সালে ওই ছাত্রী দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছিলেন। সেসময় নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাজিদ হাসানের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। এক পর্যায়ে শিক্ষক সাজিদ হাসানের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে ওই শিক্ষক বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। বর্তমানে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ অবস্থায় গত ১ মার্চ বিকেলে দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার সাজিদের প্রাইভেট পড়ানোর কক্ষে ওই ছাত্রীকে আবারও ডেকে নেন সাজিদ হাসান। এসময় আগের মতো বিয়ের প্রলোভনে আবারও তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর ওই ছাত্রী তাকে বিয়ে করতে বললে সাজিদ হাসান নানা রকম তালবাহানা করতে থাকে।
দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাহমিদা রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলার দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে প্রভাষক সাজিদ হাসানকে মোবাইল কোর্টে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সে সময় অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের কার্যক্রম করবে না বলে মুচলেকা দেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল