কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে আগাম সবজি উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। চাহিদার তুলনায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাননি বলে দাবি করেছেন ডিলাররা। তবে কৃষি বিভাগের দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণ সার সরবরাহ করা হয়েছে। জেলায় বেশি আগাম সবজি উৎপাদন হয় তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের বেশির ভাগ কৃষক ভুগছেন সার সংকটে। সময়মতো জমিতে সার দিতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
মতিউর রহমান ও শাহ আলম নামে দুজন কষক জানান, ডিলারদের কাছে গিয়েও চাহিদা মোতাবেক সার পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই খোলা বাজার থেকে বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।
চাহিদা অনুযায়ী ডিএপি, টিএসপি সার না পেয়ে বাধ্য হয়েই অনেক কৃষক গোবর ছিটিয়ে জমি চাষাবাদ করছেন। এ মুহূর্তে সার না পেলে সবজি উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। কৃষক মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, খোলা বাজার থেকে সার কিনতে তিন থেকে চার গুণ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। কৃষক দুলাল মিয়া ও মারুফ মিয়া জানান, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও সার মিলছে না। বিএডিসির ডিলার মেসার্স ইসলাম ট্রেডিংয়ের পরিচালক ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রকিব জানান, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ না পাওয়ায় এই সয়কট দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও বরাদ্দ মেলেনি। কিশোরগঞ্জে সারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে দাবি করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাদিকুর রহমান জানান, বোরো চাষিরা আগাম সার মজুত করতে চাওয়ায় তাদের কাছে সংকট মনে হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সবাই সার পাবে। হাওড়ের পানি আগেভাগে নেমে যাওয়ায় কৃষকদের তাড়া একটু বেশি। নভেম্বরের বরাদ্দও ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। টিএসপি সারের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (সার) ইকবাল মোহাম্মদ মুনতাসির।