নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শেরপুর জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল সাত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর ভারতে পালিয়েছেন। সোমবার সকালে জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি ভারতে পালিয়ে যান- এমন খবরে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। দাবি করা হচ্ছে, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী ও আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান টাকার বিনিময়ে চন্দনকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন। যদিও এসব অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছেন হযরত আলী ও আবদুল মান্নান।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশীদ পলাশ বলেন, সাত মামলার আসামি কীভাবে জামিন নিয়ে দেশ ছাড়ে? জেলা এনসিপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লিখন মিয়া বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলন করা হবে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কীভাবে কী হলো জানি না।
কারাগার সূত্র জানায়, হত্যা মামলাসহ সাত মামলার আসামি চন্দন ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে শেরপুর জেলহাজত থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরে জেলগেট থেকে ওই দিনই একটি মামলায় তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে। ২৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চন্দনের জমিন হলে সোমবার সকালে তিনি মুক্তি পান। বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে জানাজানি হলে শহরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত যাওয়ার সময় বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ চন্দনকে আটক করে শেরপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।