কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবু ১১ মাস বেতন পান না দুজন মাদরাসাশিক্ষক। এ জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতাকে দায়ী করছেন তারা। অভিযোগ আছে দুই শিক্ষকের নাম মাসিক বিল শিট থেকে বাদ দিয়েছেন সুপার। অভিযোগের পর মাদরাসা সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও। ঘটনাটি ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীরহাটা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ‘তাদের নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ আছে। বিষয়টি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পুনঃতদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বেতন দেওয়া হবে। এ জন্য এমপিও শিটে তাদের নাম স্থগিত রেখে অন্য শিক্ষকদের বেতন শিট প্রস্তুত করা হয়েছে।
মাদরাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘ওই শিক্ষকদের বিষয়ে অভিযোগ থাকায় আগের কমিটি বেতন স্থগিত করেছে। আমার কমিটি নতুন। তারা আমাদের কাছে বেতন চাননি। বিষয়টি আমার জানাও নেই।’ ইউএনও বলেন, ‘ওই দুজন শিক্ষকের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। বেতন ভাতা প্রদানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞাও নেই। তবু মাদরাসা সুপার বেতন স্থগিত রেখে কালক্ষেপণ করছেন।