ডিজিটাল ক্ষমতায়নের মাধ্যমে জীবনের গতিপথ বদলে ফেলেছেন রাজশাহীর প্রেমতলীর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। এই পরিবর্তনের বাস্তব চিত্র দেখতে সম্প্রতি এলাকাটি সফর করেছেন গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা, সঙ্গে ছিলেন টেলিনর এশিয়া এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ'র উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা।
এই সফরটি ছিল ‘ডিজিটাল ইনক্লুশন ফর মার্জিনালাইজড কমিউনিটিজ’ প্রকল্পের অংশ, যা গ্রামীণফোন, টেলিনর, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং স্থানীয় অংশীদারদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইতোমধ্যে ৩৩ লক্ষাধিক মানুষ এই উদ্যোগের মাধ্যমে ডিজিটাল সাক্ষরতা ও অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছেন। ২০২৩ সাল থেকে প্রকল্পটির আওতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ই-কমার্স, সরকারি সেবা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান জন ওমুন্ড রেভহাগ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সফরকালে দলটি স্থানীয় এক উঠান বৈঠকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন, যেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকারীরা ইন্টারঅ্যাকটিভ পদ্ধতিতে ডিজিটাল সাক্ষরতার পাঠ নিচ্ছিলেন। তারা পূর্ববর্তী অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকেও অভিজ্ঞতা শুনে দেখেছেন কীভাবে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি জীবনে বাস্তব পরিবর্তন আনছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা