আজ ‘জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস’ বা ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৯৫ সালের এ দিনে ইয়াসমিন নামের কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে কিছু বিপথগামী পুলিশ সদস্য। এ ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সাতজনকে হত্যা করে পুলিশ। তারপর থেকেই সারা দেশে এ দিনটি ইয়াসমিন ট্র্যাজেডি দিবস বা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন ইয়াসমিন। রাতে ওই তরুণী দশমাইল মোড় এলাকায় বাস থেকে নামেন। নৈশ টহল পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ইয়াসমিনকে নানা প্রশ্ন করে। একপর্যায়ে দিনাজপুর শহরে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বক তাকে পুলিশ ভ্যানে তুলে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দিনাজপুরের সর্বস্তরের মানুষ। ২৭ আগস্ট কয়েক হাজার জনতার বিক্ষোভ মিছিলে নির্দ্বিধায় গুলি চালায় পুলিশ। এতে সাতজন নিহত হন। আহত হন ৩ শতাধিক মানুষ। ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যাসহ, বিক্ষুব্ধ জনতার ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। এতে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঈনুল, কনস্টেবল আবদুস সাত্তার ও পুলিশের পিকআপ ভ্যানচালক অমৃত লাল বর্মণকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে আসামিদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয়।