বেসরকারি ডিপোর চার্জ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএএ)। গত বৃহস্পতিবার ডিপো মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোতে রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের চার্জ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় বিকডা। ১ আগস্ট থেকে নতুন এই চার্জ কার্যকর হবে বলে ব্যবহারকারীদের চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে চার্জ বাড়ানোর আগে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা করা হয়নি বলে তখন অভিযোগ ওঠে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের প্রায় ৯৩ শতাংশ এবং আমদানির ২০ শতাংশ হ্যান্ডলিং হয় বেসরকারি ডিপোর মাধ্যমে। এ ছাড়া খালি কনটেইনারও হ্যান্ডলিং করে বন্দরের আশপাশে গড়ে ওঠা ডিপোগুলো। বর্তমানে ২১টি বেসরকারি ডিপো রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি রপ্তানি পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। বিএসএএ মহাসচিব মো. হারুন মিয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, প্রাইভেট আইসিডি বা সিএফএস আইন ২০১৬ এর সেকশন ১১ দশমিক ২ অনুযায়ী এনবিআর, বন্দর এবং আইসিডি বা সিএফএস প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু নিয়মের এ ধারাকে উপেক্ষা করে অফ-ডকের ট্যারিফ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিএসএএর চিঠিতে শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য বাণিজ্য সংস্থাগুলোর (বিজিএমইএ, এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম বন্দর ইত্যাদি) সঙ্গে আরও আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে বিকডার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এর আগে বিকডার পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীদের জানানো হয়েছিল, শ্রমিক মজুরি, ইকুইপমেন্ট আমদানি-ক্রয় ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দরের পতন, ব্যাংক-সুদের হার বৃদ্ধিসহ নানা কারণে বিকডা খালি কনটেইনার এবং রপ্তানি পণ্য-কনটেইনার হ্যান্ডলিং চার্জ পুনর্নির্ধারণ করেছে।