বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ হলেও দেশের স্বাধীনতা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮৮তম বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বিমানবাহিনী প্রধান প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সেনাবাহিনী একটি পেশাদার, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত বাহিনী হিসেবে আরও সুদৃঢ় ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠবে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এ মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ১৫৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ ও ২৩ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন চারজন ফিলিস্তিনি অফিসার যারা নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার সম্রাট জাবির ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমি ত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোম্পানি সিনিয়র অফিসার মো. আবদুল ওয়াদুদ মাসুম ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে ফিলিস্তিনের অফিসার ক্যাডেট সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইসবে ‘বিএমএ ট্রফি অব এক্সিলেন্স’ লাভ করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথি এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, দ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে এ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।