মশার যন্ত্রণায় নগরবাসী অতিষ্ঠ। মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোয় কাজ হচ্ছে না। নগরবাসীর অভিযোগ, ওষুধ মশা নিধনে কার্যকর নয়। কিংবা সঠিক পরিমাণে ওষুধ দেওয়া হয় না। তবে নগর ভবনের দাবি, মশা নিধনের চেয়ে উৎপাদন বেশি হওয়ায় নগরবাসী ভুল ধারণা করছেন।
বরিশাল নগরীর বাসিন্দা জুবায়ের হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে ওষুধ ছিটানোর পর মশা মরে না। বাসাবাড়ির আশপাশে ওষুধ দেওয়ার সময় তারা বাসাবাড়িতে ঢুকে যায়। কিছুক্ষণ কামড়ায় না। ঘণ্টাখানেক পর কামড়ানো শুরু করে।
নগরীর সদর রোডের বাসিন্দা নওরীন জাহান বলেন, ওষুধ দিয়ে যাওয়ার পর কিছু সময় মশার যন্ত্রণা কম থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে আগের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে ওষুধ ছিটানো ড্রেনসহ বাসার আশপাশ থেকে বের হয়। ওষুধে ভেজাল আছে। তা না হলে এমন হবে কেন- বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
নগর ভবনের মশক নিধন শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, প্রতিদিন ২৮টি ফগার দিয়ে নগরীর দুটি করে ওয়ার্ডে ২০০ লিটার করে ওষুধ দেওয়া হয়। এ ছাড়াও চারটি ওয়ার্ডে ৪০টি হ্যান্ড স্প্রের মাধ্যমে লার্ভিসাইড ওষুধ দেওয়া হয়। লার্ভিসাইড ওষুধে প্রতি আধা লিটারে ৫০ কেজি করে পানি মেশানো হয়। ঠিকমতোই ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে যে পরিমাণ ওষুধ দেওয়া হয়, মশার উৎপাদন এর চেয়ে অনেক বেশি। তাই ওষুধ ছিটানোর পরেও মশা কমানো যাচ্ছে না।