বগুড়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র জুনাইদ আহম্মেদ রাতুলের পরিবারে এখনো শোক কাটেনি। রাতুলের পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। অশ্রুসিক্ত মা-বাবার চোখ। ঈদের আগে ছেলের স্মৃতি তাঁদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। রাতুলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের আগে রাতুল নতুন পোশাক কিনত। সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যেত। ওর পোশাক কেনার সময় আমাকে জোর করে শাড়ি কিংবা থ্রি-পিস কিনতে বাধ্য করত। বাবার জন্যও পাঞ্জাবি কেনার জন্য বারবার বলত। ওর কথায় আমরা ঈদের কেনাকাটা করেছি। এবার রাতুল নেই। আমাদের ঈদও নেই।’ ঈদের আগে ছেলের স্মৃতি মা-বাবাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। ছেলের কথা মনে করে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাঁরা।