বরিশালের নিজ জন্মভূমিতে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ৭২তম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে কবিকে। দিনটি পালনে বুধবার সকালে নগরীর কবি জীবনানন্দ দাশ সড়কের (বগুড়া রোড) পৈতৃক ভিটার একাংশে নির্মিত কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তন ও গ্রন্থাগারে কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কবি, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা।
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হয় আলোচনা সভা। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক হাসিনা বেগম। সঞ্চালনা করেন অপূর্ব গৌতম।
উপস্থিত ছিলেন কবি তপন কর চক্রবর্তী, সুশান্ত ঘোষ, সুভাষ চন্দ্র দাস, কাজী সেলিনা, বাহাউদ্দিন গোলাপ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমল চক্রবর্তী, রানী কর্মকার, শোভন কর্মকার কৃষ্ণ, জামাল আজাদ নজরুল হক নিলু, আমিনুর রহমান খোকন, কাজল ঘোষ, অমিতা ঘোষ, অনিতা পান্ডে, আবদুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন মানিক ও আল আমিন বাকলা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা কবির পৈতৃক ভিটা উদ্ধার করে সেখানে জীবনানন্দ দাশ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বলেন, বরিশালই কবির অনুপ্রেরণার উৎস। এখানকার প্রকৃতি, নদী, পথঘাট, আলো-আঁধারির দৃশ্য তার কবিতায় বারবার ফিরে এসেছে। কবির পৈতৃক ভিটা সর্বানন্দ ভবনেই ছিল। সেটিকে ঘিরে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে তরুণ প্রজন্মের জন্য তা হবে এক মহৎ উদ্যোগ।
বক্তারা বলেন, কবির বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক, আর কবি নিজেও ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ব্রজমোহন কলেজে ইংরেজি পড়াতেন। তাই কবির সাহিত্য ও স্মৃতি সংরক্ষণ করা বরিশালবাসীর সাংস্কৃতিক দায়িত্ব।
এছাড়াও কবিতা পরিষদ, আগুনমুখা প্রকাশনী, উত্তরণ, সংস্কৃতি পরিষদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক আয়োজনে কবির প্রয়াণ দিবস পালন করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে ট্রামের ধাক্কায় আহত হন জীবনানন্দ দাশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই