ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, অপরাধী যেন কেউ ছাড় না পায় সেজন্য তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে গত জুন মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইউনিট প্রধানের প্রধান দায়িত্ব হলো নিজ ইউনিটকে দক্ষতার সাথে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। সবাইকে দায়িত্ববোধ ও আগ্রহের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিয়মিত টহল জোরদার, অপরাধ প্রবণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো, চেকপোস্ট পরিচালনা করা, মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।
এর আগে, সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে।
এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরও তদারকি বাড়াতে হবে। ঈদুল আজহায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জুন-২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাসিক অপরাধ সভায় জুন মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
বিডি প্রতিদিন/কেএ