নাগরিক ও ডিজিটাল পরিসরকে নিরাপদ, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সোসাইটি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও গবেষকরা।
রাজধানীতে আয়োজিত “সেইফগার্ডিং ভয়েস: সিভিল ও ডিজিটাল স্পেস শক্তিশালীকরণের কৌশল” শীর্ষক এক কর্মশালায় এই আহ্বান জানানো হয়। কর্মশালার আয়োজন করে ‘ভয়েসেস ফর ইন্টারঅ্যাকটিভ চয়েস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট (ভয়েস)’।
কর্মশালায় একটি জাতীয় কৌশলপত্র উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয় যেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় লিঙ্গভিত্তিক অপতথ্য, ডিজিটাল হয়রানি ও ‘ডিপফেইক’ প্রযুক্তি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ে। বক্তারা বলেন, প্রচলিত আইনের ফাঁকফোকর ব্যবহার করে ভিন্নমত দমন, ডিজিটাল হুমকি ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে আইনি সংস্কার প্রয়োজন।
অ্যাকটিভিস্ট ও গবেষক রেজাউর রহমান লেনিন বলেন, “আমাদের সমাজ এখনো লিঙ্গভিত্তিক বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে পারেনি। এ খাতে আইনি সংস্কার জরুরি।”
ভয়েসের ডেপুটি ডিরেক্টর মুশাররাত মাহেরা বলেন, “নাগরিক ও ডিজিটাল পরিসর ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। এই অবস্থায় এমন আইন প্রণয়ন জরুরি, যা মানুষের কণ্ঠকে রোধ না করে অধিকার ও মর্যাদাকে সুরক্ষা দেয়।”
ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, “গবেষণা ও অংশগ্রহণকারীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রস্তুত এই কৌশলপত্র ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
কর্মশালায় অংশ নেয় আর্টিকেল ১৯, নিজেরা করি, মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ, আইসিএনএল, বিএলএএসটি, এঙ্গেজ মিডিয়া, স্পার্ক, সাঙ্গাতসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম।
কর্মশালা সঞ্চালনা ও বক্তব্য রাখেন আইন বিশেষজ্ঞ শারমিন খান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার এবং এঙ্গেজ মিডিয়ার রেজওয়ান ইসলাম। বক্তারা বলেন, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, তরুণ ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টাতেই নাগরিক ও ডিজিটাল পরিসরকে টেকসই ও সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ