টানা বর্ষণে প্লাবিত হয়েছে চট্টগ্রাম নগরের নিম্নাঞ্চল। রবিবার নগরের অধিকাংশ নিচু এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তবে পানি কোথাও দ্রুত নেমে যায়, আবার কোথাও কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। আবার নতুন করে অনেক জায়গায় পানি জমে যায়। কিছু এলাকার খাল-নালা উপচে পড়ে সড়ক থেকে পানি বসত ঘরে ঢুকেছে। তাছাড়া, জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীকে গন্তব্যে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছে।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মোট ১৯৪.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি আরও ২-১ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে অতিভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চট্টগ্রামে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পড়ছে বৃষ্টি। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। গতকাল রবিবারও ঝরে দিনভর।
পতেঙ্গার পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোহাম্মদ ঈসমাইল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, চকবাজারের কিছু অংশ, মনসুরাবাদ, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, টেক্সটাইল গেট, ওয়াসা মোড়, আগ্রাবাদের কিছু এলাকা, কৈবল্যধাম ইস্পাহানি সিটি গেট এলাকা, কেবি আমান আলী রোড, পাঠনটুলি চৌমুহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে পানি ওঠে যায়। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর সমান পানি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে চকবাজার থেকে কাতালগঞ্জ হয়ে মুরাদপুর, জিইসি মোড় থেকে ওয়াসা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, নগরের অনেক নিচু এলাকায় পানি জমেছে। মনসুরাবাদ, টেক্সটাইল গেট, জিইসি মোড়, ইউনুসকো সেন্টার থেকে ওয়াসার মোড়, ওয়াসা থেকে আলমাসের দিকে রাস্তায় পানি জমেছিল। তবে চসিক নালাগুলো পরিষ্কার করে দেওয়ার পর পানি দ্রুত নেমে যায়। কাতালগঞ্জ, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার জন্য নালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে এর সুফল মিলবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ