ধামরাইয়ের একটি বাড়ি থেকে দুই সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনেরই মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করছে পুলিশ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নার্গিস (৪৫), তার ছোট ছেলে সোলাইমান (৭) এবং বড় ছেলে শামীম (১৮)। তবে তারা কী কারণে মারা যেতে পারে তার কোনো উত্তর মেলেনি।
এলাকার সুলতানা বলেন, সকাল থেকে মা নার্গিসের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে মেয়ে। যোগাযোগ করতে না পেরে স্বামীর বাড়ি থেকে মায়ের খোঁজে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তার দুই ভাইসহ মায়ের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে ঘর থেকে বের করে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, মৃত নার্গিসের স্বামী রাজা মিয়া এক থেকে দেড় বছর আগে স্ট্রোক করে মারা যান। তাদের একটি ডেকোরেটরের ব্যবসা ছিল। অভাব-অনটনে সেই ব্যবসাও বিক্রি করে দেন নার্গিস। এরপর থেকে বড় ছেলে শামীম টুকটাক ডেকোরেশনের কাজ করতেন। রাজা মিয়ার মৃত্যুর পর তারা অনেক অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
তাদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন কিংবা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে কিনা—এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি ঘরের কোনো মালামাল চুরিও হয়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের কোনো শত্রু আছে কিনা সেটাও কেউ বলতে পারছে না।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মা ও দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনার একটি মামলা দায়ের করা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল