ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কেজিতে কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। চলতি জুন মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ টাকা। গত মাসে ছিল ১ হাজার ৪৩১ টাকা। অর্থাৎ জুনে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে ২৮ টাকা। গতকাল বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে। বিইআরসির নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৯৪ পয়সা। গত মাসে তা ছিল ১১৯ টাকা ২৪ পয়সা। অর্থাৎ এ মাসে দাম কেজিতে কমেছে ২ টাকা ৩০ পয়সা। এ হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
আর সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির বা অটোগ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগে ছিল ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা। এ ছাড়া বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহার করা রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা এলপিজির দাম কেজিপ্রতি ১১৫ টাকা ৪৯ পয়সা থেকে কমিয়ে ১১৩ টাকা ১৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন।
প্রতি মাসে এলপিজির দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।