সম্প্রতি এক হৃদয়বিদারক ঘটনা আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 'থ্রোআ্যাওয়েএকে৭৭' নামের এক নারী রেডিট ব্যবহারকারী জানান, এক পারিবারিক নৈশভোজে ঘটে গেছে এমন এক কাণ্ড, যা ১৭ বছর ধরে লুকানো একটি গোপন সত্যকে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। আর সেই সত্য সামনে আসতেই ভেঙে পড়ে পুরো পরিবার।
ঘটনার দিন ওই নারী, তার স্বামী এবং তাদের তিন সন্তান মিলে শাশুড়ির আমন্ত্রণে যান নৈশভোজে। পরিবারের সবার উদ্দেশ্য ছিল একসঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি গল্প, হাসি-ঠাট্টায় ভরপুর এক আনন্দঘন সন্ধ্যা উপভোগ করা। কিন্তু খেতে বসার আগেই শাশুড়ি তাদের হাতে একটি খাম তুলে দেন।
খাম খুলতেই ঘটে বিস্ফোরণ। জানা যায়, শাশুড়ি তাদের অজ্ঞাতসারে ওই দম্পতির ১৭ বছর বয়সি কন্যার ডিএনএ পরীক্ষা করেন। আর সেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল- কন্যাটির জৈবিক পিতা ওই নারীর বর্তমান স্বামী নন। এই তথ্য মুহূর্তেই স্তব্ধ করে দেয় পরিবারের সবাইকে।
রেডিট ব্যবহারকারী ওই নারী জানান, মেয়ের জন্মের আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ও তার স্বামী একসঙ্গে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ফলে তিনি গর্ভবতী হওয়ার পরও নিশ্চিত ছিলেন না সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে। স্বামীকে বিষয়টি জানালে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, সন্তানের পিতৃত্ব যাই হোক না কেন তিনি তাকে নিজের সন্তান বলেই গ্রহণ করবেন এবং ভালোবাসবেন।
এই বিষয়টি ১৭ বছর ধরে পরিবারে গোপন ছিল, বিশেষ করে সন্তানদের থেকে। শাশুড়ির গোপনে করা ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল সেই গোপন তথ্যকে পরিবার ও কন্যার সামনে নিয়ে আসে। ফলাফল জানার পর ভেঙে পড়েন তাদের কন্যা।
এই ঘটনায় রেগে যান ওই নারীর স্বামী। তিনি মায়ের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। বাড়ি ফিরে তিনি ও তার স্ত্রী দুইজনই মিলে মেয়েকে শান্তভাবে বুঝিয়ে বলেন সব ঘটনা।
রেডিটে প্রকাশিত এই পোস্টের পর হাজার হাজার ব্যবহারকারী এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। শাশুড়ির এমন কাজকে অনেকে ‘নিষ্ঠুর’ বলে মন্তব্য করেছেন, আবার অনেকে ওই দম্পতির একে অপরের পাশে থাকার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে তাদের ওই মেয়ের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সূত্র: আনন্দবাজার।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ