টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরজুড়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। জলাবদ্ধতার কারণে শনিবার দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) পক্ষ থেকে নগরভবনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়ী ঢলে সিলেট জেলার তিন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গত দিনের ভারী বৃষ্টিতে শনিবার সকাল থেকে সিলেট নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। নগরীর রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী মিরাবাজার, মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, হাওয়াপাড়া, মুন্সিপাড়া, দাঁড়িয়াপাড়া, উপশহর, যতরপুর, সুবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, চৌকিদেখি, শাহপরাণ, কদমতলী, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সুরমা নদী কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহমান ছড়া ও খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনে ধীরগতি দেখা দেয়। ফলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ বাড়তে থাকে।
এদিকে, জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় নগরভবনে কন্ট্রোল রুম খুলেছে সিসিক। জলাবদ্ধতা মোকাবেলা ও জনদুর্ভোগ লাঘবে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্ণেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীনকে।
অন্যদিকে, সিলেট সীমান্তের ওপারে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সুরমা, লোভা, সারি, সারিগোয়াইন, পিয়াইন ও ধলাই নদীতে ঢল নামে। এতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া সিলেটের সবকটি নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী জানান, উপজেলার গোয়াইনঘাট-রাধানগর সড়কের নিচু অংশ তলিয়ে গেছে।
কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠলেও এখনো বাসাবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলায় ৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল