বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট এবং লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ শিক্ষার্থীদেরকে অফুরন্ত প্রাণশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী। আমাদের প্রচুর জনশক্তি আছে। শিক্ষা ও দক্ষতা দিয়ে তাদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তাহলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।
শনিবার রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সামার-২০২৫ সেমিস্টারের নবাগত শিক্ষার্থীদের ফ্রেশারস রিসেপশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এসব কথা বলেন।
দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে গণ্ডগোল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সপ্তম শ্রেণি পর্যায়ের। আমরা শিক্ষার্থীদের যথাযথ পদ্ধতি দিতে পারিনি, এটা দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষার্থীদের যে অফুরন্ত প্রাণশক্তি আছে, সেটা কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে নিজের ও দেশের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নর্দান ইউনিভার্সিটি নবীন শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে দামি জিনিস মস্তিষ্ক (ব্রেন)। ১৩০ বছর আগে আমাদের জগদীশ চন্দ্র বসু যে আবিষ্কার করেছিলেন তা রেডিও আবিষ্কারের সমান। তার ধারাবাহিকতায় আমাদের মোবাইল আবিষ্কারের কথা ছিল। দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এটা করতে পারিনি; কোরিয়ানরা করেছে। ১০ বছর আগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিদেশিরা আমাদের দেশ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যায়, এখন হয়তো এটা ১ লাখ কোটি টাকা হবে। দক্ষ জনশক্তি থাকলে এটা বন্ধ হতে পারতো।
বুয়েটের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, জ্ঞান অর্জনের সঙ্গে বিনয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে গাছে ফল হয়, সে গাছ নুইয়ে পড়ে। তরুণ প্রজন্মের বিনয়ের অভাব। দুর্বিনীত হওয়া মানে তুমি কিছুই অর্জন করতে পারোনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন জায়গা। এখানে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য পড়ালেখা, সেটা গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে তিনি বিনয়ী এবং মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ।