জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখী কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের দলে দলে যোগদানে সমাবেশ শুরু হয়।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান, গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
সমাবেশে জবি ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান বলেন, চার দফা দাবির সবগুলোই যৌক্তিক। এ দাবিগুলো আজকের নতুন কোনো দাবি নয়। অনেক দিন ধরেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই দাবিগুলোর পুরোটাই মেনে নিতে হবে।
সাবেক শিক্ষার্থী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বাসদ মার্ক্সবাদীর নেতা মাসুদ রানা বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি সরকারকে মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি পুলিশের হামলার বিচার করতে হবে।
সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এবং সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আল্যামনাই এসোসিয়েশনের সদস্যরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা হলো-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত