খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ড. মুহাম্মদ মাসুদের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আন্দোলনরত ৩২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিকেল চারটায় শুরু হওয়া আমরণ অনশন কর্মসূচি ইতিমধ্যে ৪৪ ঘণ্টা পার হয়েছে। প্রচন্ড গরমে ও দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকায় অনশনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সবাই শারীরিকভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। অনেকের শরীরে রক্তচাপ কমে গেছে। কুয়েটের আবাসিক হল ও বাইরের ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হচ্ছেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে কুয়েটের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার কুয়েটে অনশন স্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন।
উপদেষ্টা আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষার্থীরা উষ্ণ আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়বেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছি। শিক্ষার্থীরা সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে ভিসিকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা একটা আইন রয়েছে সেই আইনকে মাথায় রেখেই এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে কুয়েট পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) একটি প্রতিনিধি দল বুধবার সকালে কুয়েটে এসেছেন। তারা শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছেন। শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল